একজন আল্লাহর অলি খ্রিস্টান হওয়ার গল্প । (পার্ঠ-৮)
এইটি হচ্ছে আল্লাহর অলি খ্রিস্টান হওয়ার গল্প এর তৃতীয় পার্ব, আপনি যদি আগের পর্বগুলি না পরে থাকেন অর্থাৎ ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬ ও ৭ নং পর্ব যদি না পরে থাকেন তাহলে এই পোস্টের একেবারে নিচে সবগুলি পর্বের লিঙ্ক দেওয়া আছে আপনি চাইলে আগের পর্বগুলি পরে আসতে পারেন।
( গল্পের পার্ঠ-৮ )
ভদ্র মহিলার চোখ থেকে তখন অঝোর ধারায় অশ্রু ঝরছে। কিছুতেই তিনি অশ্রু সংবরণ করতে পারছেন না। অবশেষে ক্ষীণ কণ্ঠে বলেই ফেললেন- হে নির্দয়, নিষ্ঠুর অশ্রু! বিদায় বেলায় প্রিয়তমকে। নয়নভরে এক নজর দেখতে দাও। তারপর তুমি যত ইচ্ছা প্রবাহিত হইও, তাতে আমার কোনো দুঃখ থাকবে না।
থাকবে না কোনো বাধাও। অতঃপর ভদ্র মহিলা বহু কষ্টে শায়েখ স্পেনিশকে সালাম দিতে সক্ষম হলেন। শায়েখ কান্না বিজড়িত কণ্ঠে সালামের জবাব দিয়ে বললেন, চিন্তা করো না। চির শান্তির জায়গা বেহেশতের মধ্যে অতিসত্তর তোমার আমার মিলন হবে, ইনশাআল্লাহ।
বিঃ দ্রঃ আজকে এই একজন আল্লাহর অলি খ্রিস্টান হওয়ার গল্প এর শেষ পার্ঠ তাই আমি আপনাকে বলবো যদি আপনার কাছে গল্পটি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করার অনুরদ রইল।
একথা শুনার সাথে সাথে ভদ্র মহিলার ঠোটে এক চিলতে মধুর হাসি দেখা গেল। পরক্ষণেই এই বিশ্ব জগতের মায়াজাল ছিন্ন করে পরপারে পাড়ি জমালেন। চলে গেলেন অনন্তের পথে। ইন্নালিল্লাহি ওয়া…………।
স্নেহময়ী প্রেয়সীর বিয়োগ ব্যাথায় শায়েখ স্পেনিশও জ্ঞান হারালেন। চোখের কোণে দেখা গেল দু’ফোটা অশ্রু। তার সফরের পথও সংক্ষিপ্ত হয়ে এলো। কয়েকদিন পর তিনিও এ ধরাধাম ত্যাগ করে চির বিদায় গ্রহণ। করলেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া………….।
হযরত শিবলী (র.) বলেন, কয়েকদিন পর আমি স্বপ্নে দেখলাম, আবু আব্দুল্লাহ উন্দুলুসী (র.) বিশাল বিস্তীর্ণ সবুজ শ্যামল উদ্যানে উপবিষ্ট । তার চারপাশে ৭জন আয়াতলোচনা হুর দাড়িয়ে। যাদের রূপ সৌন্দর্য সূর্যের আলোকেও ম্লান করে দেয়।
তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুন্দরী যে মেয়েটি এবং যার সাথে শায়েখ সর্বপ্রথম বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, তিনি। হলেন সেই মেয়ে যার প্রেমে এক সময় তিনি পাগল পারা ছিলেন। যার রূপের মোহ তাকে করেছিল বিভ্রান্ত ও ধর্মচ্যুত।
প্রিয় পাঠক! আল্লাহ পাক গর্ব-অহংকার মোটেও পছন্দ করেন প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গর্ব অহংকারকে খাৰায়েছ তথা জঘন্যতম ঘৃণ্যবস্তু বলে আখ্যায়িত করেছেন একজন আল্লাহর ওলীর মারাত্মক পদস্থলিন, কঠিন পরীক্ষার হওয়া- তাও কিন্তু এই অহংকারের ফলেই হয়েছে। তাই আসুন, আহত নামক এই মহা ব্যাধিকে আমরা দিল থেকে বের করে নেই । আমিত্বকে খতম করে ফেলি, অন্তরে স্থান দেই বিনয়-নম্রতা ও নিজ ছোট্ট ভাবার মহৌষধ।
আর এজন্য আধ্যাত্মিক জগতের ডাক্তার-হনী পীর-মাশায়েখদের শরণাপন্ন হই। তাদের মাধ্যমে ধৈর্যের সাথে চিকিত গ্রহণ করি। স্বচ্ছ-সুন্দর করি যাবতীয় আবিল তা থেকে অস্তর নামক আয়নাটিকে। হে দয়াময় প্রভূ! তুমি আমাদের তৌফিক দাও। আমীন।
এটা সম্পূর্ণ নিশ্চিত যে, মানুষ আল্লাহর হুকুম পালন করলে আল্লহ তাআলা তার জরুরত করবেন। কিন্তু আসবাব দ্বারা জরুরত পু হবে- এটা মোটেও নিশ্চিত নয়।
সংরক্ষণঃ “বিশ্বইজতেমায় বয়ান, ২০০০ইং
গল্পের প্রথম পার্ঠ পড়তে এখানে ক্লিক করুন অর্থাৎ (পার্ঠ-১)
গল্পের দ্বিতীয় পার্ঠ পড়তে এখানে ক্লিক করুন অর্থাৎ (পার্ঠ-২)
গল্পের তৃতীয় পার্ঠ পড়তে এখানে ক্লিক করুন অর্থাৎ (পার্ঠ-৩)
গল্পের চতুর্থ পার্ঠ পড়তে এখানে ক্লিক করুন অর্থাৎ (পার্ঠ-৪)
গল্পের পঞ্চম পার্ঠ পড়তে এখানে ক্লিক করুন অর্থাৎ (পার্ঠ-৫)
গল্পের ষষ্ঠ পার্ঠ পড়তে এখানে ক্লিক করুন অর্থাৎ (পার্ঠ-৬)
গল্পের সপ্তম পার্ঠ পড়তে এখানে ক্লিক করুন অর্থাৎ (পার্ঠ-৭)
গল্পের অষ্টম পার্ঠ পড়তে এখানে ক্লিক করুন অর্থাৎ (পার্ঠ-৮)
আমাদের সেবা উপভুগ করতে অথবা আমাদের সাথে থেকে অসহায় মানুষের পাশে দারাতে এখানে ক্লিক করুন।